প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি কি?
প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি অথবা ইকমার্স প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি একই জিনিস। প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি হল এমন যা আপনি আপনার পন্যের ছবি সুন্দর করে সব দিক থেকে তুলে আপনার ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করার জন্য তুলা হয়।ছবি গুলা তুলার সময় কিছু দিকে লক্ষ্য রাখতে হয় যেন সব ছবি গুলা এমন ভাবে তোলা হয় যেন কাস্টমার আপনার ছবি দেখে আপনার পন্যের মান অথবা আপনার পন্যের সুন্দর্য্য দেখে প্রোডাক্ট কিনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। একটি ভালো প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি বিক্রি করতে পারে আপনার পন্য এবং উন্নত করে আপনার ব্যান্ড।
প্রফেশনাল প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি
বর্তমান সময়ে এসেও আমরা অনেকে প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি সম্পর্কে খুব ভালো জানি না। আমরা ভাবি যে কোন একটা ছবি তুলে দিলেই হবে পন্যের।কিন্তু না আপনি যদি প্রফেশনাল প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি করতে চান তাহলে আপনাকে ভালো ভাবে এই ৭টি টিপস মেনে চলতে হবে।
১। প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি কত প্রকারঃ
ক) ইন্ডিভিজুয়াল শর্টঃ– প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফির অন্যতম একটি হল ইন্ডিভিজুয়াল শট এটি হল যে কোন একটি বস্তু বা প্রডাক্ট কে ফ্রেমে হাইলাইট করে ফটোগ্রাফি করা।
খ) গ্রুপ ফটোগ্রাফিঃ-প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফির আরেকটি অন্যতম মাধ্যম হল গ্রুপ ফটোগ্রাফি এখানে কয়েকটি বস্তুকে এক সাথে হাইলাইট করে প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি করা কে গ্রুপ ফটোগ্রাফি বলে।
গ) লাইফ স্টাইল ফটোগ্রাফিঃ– লাইফ স্টাইল ফটোগ্রাফি হল প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফির আরেকটি অন্যতম মাধ্যম এখানে লাইফ স্টাইল নিয়ে ফটোগ্রাফি করা হয় যেমন, শার্ট, প্যান্ট, শাড়ি, থ্রি পিছ, এবং বাহারি রকমের নানা লাইফ স্টাইলে ব্যবহার করার পন্য, এটির মাধ্যমে আপনার ব্যান্ডের পন্য আপনার ওয়েবসাইট অথবা আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এই পন্য গুলা বিক্রি করা যায়।
ঘ) ডিটেইল ফটোগ্রাফিঃ ডিটেইল ফটোগ্রাফি হল প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফির আরেকটি পার্ট এখানে কাজ করা হয় প্রোডাক্টের সুক্ষ জিনিস নিয়ে যেমন আপনি ফটোগ্রাফি করলেন লাইফ স্টাইল পন্য নিয়ে এখানে কাজ করা হয় আপনার পন্যের সুতা কেমন, আপনার পন্য সামনের থেকে দেখতে কেমন লাগবে।
ঙ) প্যাকেজিং ফটোগ্রাফিঃ প্যাকেজিং ফটোগ্রাফি হল অনেক গুরুত্ত পুর্ন্য এই ফটোগ্রাফি করা হয় আপনার ব্যন্ডের ভ্যালু এবং ব্যান্ডের পরিচিতি বাড়ানোর জন্য।
২। হাই কোয়ালিটি প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফিঃ
হাই-কোয়ালিটির প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি অনেক ইম্পর্ট্যান্ট এটি আপনার ব্র্যান্ডের ইমেজ বাড়াতে সাহায্য করে। হাই কোয়ালিটির ফটোগ্রাফির জন্য আপনাকে ভালো প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। হাই-কোয়ালিটির ফটোগ্রাফি করার জন্য আপনাকে ব্যবহার করতে হলে ডিএসএল আর ক্যামেরা যার কারনে রেজুলেশন ভালো হবে আপনার পণের ছবির। এই ছবি গুলা দেখতে অনেক সুন্দর এবং প্রফেশনাল হয় ।বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম হাই-কোয়ালিটির প্রোডাক্ট ফটো তুলে থাকে সার্চ লাইট স্টূডিও তাদের প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার দিয়ে তারা এই কাজ গুলা সম্পন্ন করে থাকে।আপনারা চাইলে আপনার ওয়েবসাইট বা সামাজিক মাধ্যমে আপনার পন্য বা সেবা বিক্রির জন্য তাদের সার্ভিস নিতে পারেন।
৩। একটি পন্যের বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে ছবি
যখন আপনি আপনার পন্যের ফটোগ্রাফি করবেন তখন আপনাকে এই ৬টি এঙ্গেলের ছবি নিতে হবে।
ক) পন্যের সামনের দিকের ফটোগ্রাফি
খ) প্রোডাক্টের প্রোফাইল ফটোগ্রাফি
গ) প্রোডাক্টের ৪৫ ডিগ্রি ফটোগ্রাফি
ঘ) প্রোডাক্টের পিছনের দিকের ছবি
ঙ) প্রোডাক্টের উপরের দিকের ফটোগ্রাফি
চ) প্রোডাক্টের ছোট ছোট এঙ্গেলের ছবি
৪। ট্রাইপড ব্যবহার করা
ভালো প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি করার জন্য আপনাকে ক্যামেরার সাথে অবশ্যই ট্রাইপড ব্যবহার করতে হবে। ট্রাইপড ব্যবহার করলে আপনার পন্যের ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হবে।যখন আপনি নিখুত ভাবে ছবি বা ভিডিও নিতে যাবেন তখন এক মাত্র ট্রাইপডই পারে আপনাকে নিখুত ভাবে ছবি দিতে। একটি ট্রাইপড ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বা দীর্ঘ এক্সপোজারের ফটোগ্রাফ তোলার জন্যও দরকারী যেগুলির জন্য তুলনামূলকভাবে ধীর শাটার গতির প্রয়োজন কারণ ক্যামেরাটিকে একেবারে স্থির থাকতে হবে, ছবিতে মোশন ব্লার প্রবর্তন করার জন্য নয়। উপরন্তু, যারা চমৎকার স্ট্যাটিক শট খুঁজছেন তারা প্রায়ই একটি ট্রাইপড ব্যবহার করবেন।
৫। স্টুডিও লাইটিং দরকার
ভালো প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফির জন্য অন্তত বেসিক স্টুডিও লাইটিং হলেও দরকার।কিন্তু সব থেকে ভালো এবং সবার পছন্দের লাইটিং হল সুর্যের আলো। যখন আপনি আপনার পন্যের ছবি তুলবেন সব সময় ত্রাই করবেন সুর্যের আল থাকা অবস্থায় তুলার যদি কখনো আর্টিফিসিয়াল লাইটের দরকার হয় তাহলে আপনাকে ভালো লাইটের ব্যবস্থা করতে হবে যদি আপনি আপনার পন্য সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে চান আপনার কাস্টমারের কাছে।
৬। ফটো এডিট করার জন্য বড় মনিটর
যখন আপনি আপনার প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফির জন্য পিছনের দাপ গুলা সম্পুর্ন করবেন তখন আপনার দরকার হবে আপনার ছবি এডিট করার জন্য বড় একটি মনিটরের। বড় মনিটর আপনাকে সাহায্য করবে আপনার আপনার পন্যের ডিটেইলস প্ল্যান, পন্যের প্রকৃত কালার,ব্যাকগ্রাউন্ড ডিলেট করে পন্যকে হাইলাইট করার জন্য,যদি এডিটিংয়ের জন্য আপনার পন্যে কোন ছায়া যোগ করতে হয় তাহলে বড় মনিটর আপনাকে সব থেকে বেশি সাহায্য করবে। যদি ছবিতে কোন ক্রপ করার দরকার হয় তাহলে সুক্ষ ভাবে ক্রপ করার জন্য বড় মনিটর আপনাকে সাহায্য করবে। আপনি যদি 3D এডিট করতে চান তাহলে বড় মনিটর আপনাকে আপনার পন্যের কালার এডিটিং মোশন ইত্যাদি দিতে সাহায্য করবে।
৭।স্যালস চ্যানেল অপ্টিমাইজ করা
প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফির আরেকটি ইম্পর্ট্যান্ট জিনিস হল পন্যের অপ্টিমাইজ ফটোগ্রাফি করা স্যালস চ্যানেরের জন্য।আপনার পন্যের ফটোগ্রাফির ইমেজের নাম অপটিমাইজ করা। আপনার পন্যের ছবির রিসাইজ করা,পন্যের ফটোগ্রাফির ইমেজের ফরম্যাট ঠিক করা, পন্যের ফটোগ্রাফি ইমেজ ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপনার পন্য বিক্রি করা।এগুলা সব হল ভালো ফটোগ্রাফির টিপস